টক দই খেলে কি আসলেই ওজন কমে ?
ওজন কমাতে টক দইয়ের জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। তবে প্রশ্ন হলো, আসলেই কি টক দই খেলে ওজন কমে? কিংবা এটি কি সত্যিই শরীরের চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে? এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানালেন ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী।
টক দই সাধারণত মিষ্টি দইয়ের তুলনায় বেশি স্বাস্থ্যকর মনে করা হয়, কারণ এতে অতিরিক্ত চিনি যোগ করা হয় না। তবে, মনে রাখা জরুরি, দই যেহেতু দুধ থেকে তৈরি, তাই এতে দুধের মতোই স্নেহ পদার্থ থাকে। অর্থাৎ, টক দই ও মিষ্টি দইয়ের স্নেহ পদার্থের পরিমাণ প্রায় একই।
তাহলে কেন ওজন কমাতে টক দই খাওয়া হয়?
অনেকেই টক দইকে ওজন কমানোর জন্য একটি ভালো বিকল্প মনে করেন, বিশেষ করে যদি এটি উচ্চ ক্যালরি সম্পন্ন নাশতার পরিবর্তে খাওয়া হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি কেউ ভাজাপোড়া বা ফাস্ট ফুডের পরিবর্তে টক দই খান, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই তার ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ কমে আসবে, যা ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে।
এছাড়াও, টক দই অন্যান্য খাবারের জন্যও একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে। কেউ যদি চিড়া বা কলার সঙ্গে দই খান, তবে মিষ্টি দইয়ের পরিবর্তে টক দই বেছে নিলে অতিরিক্ত চিনির ক্যালরি এড়ানো সম্ভব। সালাদ ড্রেসিং হিসেবে মেয়োনেজের পরিবর্তে টক দই ব্যবহারও স্বাস্থ্যকর হতে পারে।
টক দইয়ের অতিরিক্ত সুবিধা
মিষ্টি দইয়ের ওপরের স্তরে মাঝে মাঝে মাখন, ঘি বা রং দেওয়া হয়, যা টক দইয়ে দেওয়া হয় না। ফলে টক দই তুলনামূলকভাবে স্বাস্থ্যকর। যেহেতু দুধ থেকে তৈরি হয়, তাই যেকোনো দই থেকেই আপনি প্রয়োজনীয় আমিষ, ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান পেতে পারেন।
শেষ কথা
ওজন কমানোর জন্য টক দইয়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রতিদিনের ক্যালরি গ্রহণকে একটি নির্দিষ্ট সীমায় রাখা। পাশাপাশি, নিয়মিত হাঁটাচলা বা ব্যায়ামও ওজন কমানোর জন্য অপরিহার্য। সব দিক ঠিক থাকলে তবেই ওজন কমানো সম্ভব।
কোন মন্তব্য নেই