সফল সম্পর্কের জন্য ভালোবাসা যেমন প্রয়োজন, তেমনি বাস্তব জীবনে টাকাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি দুজনই চাকরি করেন, তাহলে সংসারের অনেকটা চাহিদা পূরণ করা যায়। কিন্তু একজন আয় করেও যদি উল্টোপাল্টা খরচ করে, তবে পর্যাপ্ত আয় করেও সংসারে টান পড়তে বাধ্য। স্বামী বা স্ত্রীর যে কেউ যদি অপ্রয়োজনীয় খরচ করতে ভালোবাসেন, তা সংসারে আর্থিক চাপ তৈরি করে। নিচে কিছু লক্ষণ দেয়া হলো, যা দেখে বুঝতে পারবেন আপনার জীবনসঙ্গী হিসাবি না বেহিসাবি।
অতিরিক্ত খরচের প্রবণতা
যখন অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা করা হয় এবং বরাদ্দ করা খরচের বাইরে গিয়ে টাকা ব্যয় হয়, তখন ব্যাংক অ্যাকাউন্টও সাহায্য করতে পারে না। অকারণে কেনাকাটা করার সময় যদি মনে হয় "পরে দেখবো", তবে তখনই নিজেকে সংযত করা উচিত। নাহলে পরের দিনই খরচ নিয়ে অশান্তি শুরু হতে পারে।
বাজেট করতে না চাওয়া
মাসের শুরুতেই বাজেট তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। এতে খরচের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে। যদি আপনার জীবনসঙ্গী বাজেট মেনে চলতে দ্বিধা করে, তবে বুঝবেন তিনি বেহিসাবি। বাজেট মেনে চলতে ইচ্ছাশক্তি এবং নিয়মিততা প্রয়োজন। যদি দায়িত্বহীনভাবে খরচ করা হয়, তাহলে পরে আর্থিক সংকট তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ধারে ডুবে থাকা
যখন খরচ নিয়ন্ত্রণে না থাকে, তখন ধার নেওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। ধার নেওয়ার অভ্যাস মাস শেষে সঞ্চয়ের টাকা পাওনাদারের হাতে তুলে দেয়। যদি সংসারের একদিকে আপনি ধার শোধ করছেন আর অন্যদিকে আপনার সঙ্গী অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা করে যাচ্ছেন, তাহলে বুঝতে হবে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। প্রয়োজনে এই ধরনের পরিস্থিতিতে দাম্পত্য পরামর্শ নিতে পারেন।
আর্থিক স্বচ্ছতার অভাব
এটাও আর্থিক দায়িত্বহীনতার একটি রূপ। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আর্থিক স্বচ্ছতা থাকা প্রয়োজন। যদি আপনার সঙ্গী আপনার সাথে পরামর্শ না করে অন্য কারও সাথে আর্থিক লেনদেন করেন, ক্রেডিট কার্ডের বিল লুকিয়ে রাখেন বা কেনাকাটা গোপনে করেন, তবে এটি একটি খারাপ লক্ষণ। স্বচ্ছ আর্থিক সম্পর্ক থাকলে অনেক সমস্যার সমাধান সহজ হয়।
সঞ্চয়ের অভাব
অনেকের ধারণা, সঞ্চয় করা সহজ, কিন্তু এটি বাস্তবে ততটা সহজ নয়। হাতে টাকা এলেই খরচ করার প্রবণতা থাকলে ভবিষ্যতে সমস্যা তৈরি হতে পারে। স্বামী-স্ত্রী এবং পিতা-মাতা হিসেবে সঞ্চয়ের গুরুত্ব উপলব্ধি করা জরুরি। আর্থিক দায়িত্বহীনতার একটি লক্ষণ হলো সঞ্চয়ের অভাব। সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলা কঠিন হলেও এটি অভ্যাসে পরিণত করা গেলে ভবিষ্যতে আপনারই লাভ হবে।
আপনার খরচে মাথা গলানো
যদি আপনার সঙ্গী নিজের খরচ শেষ করে আপনার টাকায় হাত দিতে চান, তবে বুঝবেন তিনি বেহিসাবি। শুধু তাই নয়, আপনার টাকা কীভাবে ব্যয় হবে, তাও নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবেন। এমনকি কখনো কখনো আপনার খরচ নিয়ে তিরস্কার করবেন, যদিও তিনি নিজেই বেশি খরচ করছেন।
কোন মন্তব্য নেই